এস এম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ঘটছে দূর্ঘটনা। জলাবদ্ধতা নিয়ে পৌর মেয়র ছাবির আহমেদের উদাসীনতা চোখে পড়ার মতো।
নবীগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজার মোড় জলাবদ্ধতা নিরসনে বারবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়ছে না পৌর কর্তৃপক্ষের।
পৌর মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েও কাজের কাজ কিছুই করছেন না। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অচল হয়ে যায় ব্যবসা প্রতিষ্টানের বেচা-কেনা। পানি বন্দি হয়ে পড়ে কয়েকশত দোকান। প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে যারাই পানি ভেঙে দোকান গুলোতে ঢুকছেন তারাই ড্রেনে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ ঘটিকায় সরেজমিনে নবীগঞ্জ পৌরসভা ঘুরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার একই চিত্র দেখা যায়। এসময় কথা হয় বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে, ব্যবসায়ীরা বলেন কী ব্যবসা করবো? বুঝতে পারছি না। এ কেমন পৌরসভায় বাস করছি আমরা? অল্প বৃষ্টিতেই শহরে হাটু পানি হয়।
বাজারের পুরাতন ব্যবসায়ী অপু এন্টার প্রাইজের তপন দাশ জানান, চোখের সামনে ড্রেনে পড়ে আহত হচ্ছেন পথচারীরা। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার দেখছি না। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যায় আছি আমরা। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে দোকানে কাষ্টমার আসতে চায় না। লোকসান পোহাতে হচ্ছে, এতে করে কারো কিছু যায় আসে না।
আরেক ব্যবসায়ী সানি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এই মেয়রকে নিয়ে সন্তুষ্ট নই। কারণ আমরা ব্যবসায়ীরা জলাবদ্ধতার কারনে ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছি। নিরসনে পৌর মেয়রের কোনো উদ্যোগ ও দেখছি না। তাহলে এমন প্রতিনিধি দিয়ে আমাদের কী দরকার। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে যদি কাজেই আসে না এমন মানুষ আমরা চাই না।
অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির পর থেকে জলাবদ্ধতার কারণে ড্রেনে পড়ে প্রায় ১০লোক আহত হয়েছেন।
বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুলে পড়ুয়া কোমলমতি শিশু কিশোরদের জন্য জীবন ঝুঁকির পথে। বাচ্চারা এই ড্রেনে পড়লে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটতে পারে মন্তব্য করছেন পৌরবাসী।
জলাবদ্ধতার এই দূষিত পানিতে চলাফেরায় পানিবাহিত মরণব্যাধি রোগ হওয়ার সম্ভনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকরা।
বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র ছাবির আহমেদকে পাওয়া যায়নি।